সদরঘাটে মর্নিং বার্ড লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তবে ময়ূর-২ নামের লঞ্চটির মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার সময় লঞ্চ দুটি কোন দুই চালক চালাচ্ছিলেন তা এখনো বের করেতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এই দুই চালককে পেলে সব কারণ জানা যাবে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
গতকাল সোমবার সকালে মর্নিং বার্ডকে, ময়ূর–২ লঞ্চটি ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নৌ পুলিশের ঢাকা বিভাগের প্রধান খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, মর্নিং বার্ড নামের ছোট লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনার জন্য দায়ী এম ভি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, চালকসহ (মাস্টার) কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে আসামিদের ধরা হবে।
নৌ পুলিশের ঢাকা বিভাগের প্রধান খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, মর্নিং বার্ড নামের ছোট লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনার জন্য দায়ী এম ভি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, চালকসহ (মাস্টার) কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে আসামিদের ধরা হবে।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহিৃত করতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের কমিটি কাজ শুরু করেছে। তারা আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনজনের সাক্ষ্যও নিয়েছেন।
কমিটির আহ্বায়ক নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি কাজ শুরু করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চ ময়ূর-২ পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে জব্দ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। তিনজনের সাক্ষ্য নিয়েছি। তাতে মনে হয়েছে, ছোট আকৃতির মর্নিং বার্ড লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে ময়ূর-২।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাত আসামি হলেন, ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩২), লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), জাকির হোসেন (৫৪), শিপন হাওলাদার (৪৫), শাকিল হোসেন (২৮), নাসির মৃধা (৪০) ও হৃদয় (২৪)। এদের মধ্যে বাশার দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার এবং জাকির হোসেন তৃতীয় শ্রেণীর মাস্টার।
ময়ূর-২ এর কোন চালক লঞ্চ চালাচ্ছিল, সে বিষয়টি এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি দুর্ঘটনার শিকার মর্নিং বার্ড এর কোন মাস্টার লঞ্চ চালাচ্ছিল তাও বের করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, 'সোমবার থেকে আমরা লাশ উদ্ধার নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চলমান। আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে জানা সম্ভব হবে, ময়ূর-২ এর কোন চালক লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক প্রথম আলোকে বলেন, 'আমার জানা মতে ময়ূর-২ এর মাস্টার, চালকদের সনদ ছিল। তবে সনদের মেয়াদ ছিল কিনা সেটি এখনও যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি।' তবে অন্যদিকে সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমরা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি, তাতে দেখা যাচ্ছে ময়ূর-২ এর মাস্টার বাশারের সনদ ছিল। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার। আরেকজন মাস্টার যিনি আসামি তার নাম জাকির, তিনি তৃতীয় শ্রেনির মাস্টার। এখন আমরা খুঁজছি, কে সেদিন ময়ূর-২ লঞ্চটি চালাচ্ছিল। কে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।'
সরেজমিনে সদরঘাট পরিদর্শনে দেখা যায়, ছোট আকৃতির লঞ্চ মঙ্গলবারও ঢাকার সদরঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চ দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটির সদস্য বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, 'ছোট লঞ্চ যদি যাত্রীদের ঝূঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অবশ্যই তা বন্ধ করা হবে। যাত্রীরা না চাইলে অবশ্যই তা বন্ধ হবে।'
সোমবার সকাল ৮টার দিকে মর্নিং বার্ড নামের ছোট একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ছেড়ে আসে। লঞ্চটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের কাছাকাছি চলে আসলে ময়ূর-২ নামের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। দুর্ঘটনার শিকার মর্নিং বার্ডকে উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চের ভেতর লাশের সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সেতুর ফাটলে রাস্তায় যানজট :
দুর্ঘটনার শিকার লঞ্চ মর্নিং বার্ড উদ্ধার করতে আসা জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর ওপর দিয়ে যানচলাচল বন্ধ থাকায় ওই পথে যানজট তৈরি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়াগামী রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের সব যানবাহন বাবু বাজার সেতু দিয়ে চলাচল করে। এতে গুলিস্তান, রায়সাহেব বাজার ও যাত্রাবাড়ীতে দিনভর যানজট তৈরি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু পরিদর্শন শেষে আজ ঢাকা অঞ্চলের জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই সেতুর ওপর দিয়ে সীমিত আকারে যানবহন চলাচলের সুযোগ পাবে। তবে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ স্থায়ীভাবে ঠিক করা
সোমবার সকাল ৮টার দিকে মর্নিং বার্ড নামের ছোট একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ছেড়ে আসে। লঞ্চটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের কাছাকাছি চলে আসলে ময়ূর-২ নামের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। দুর্ঘটনার শিকার মর্নিং বার্ডকে উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চের ভেতর লাশের সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সেতুর ফাটলে রাস্তায় যানজট :
দুর্ঘটনার শিকার লঞ্চ মর্নিং বার্ড উদ্ধার করতে আসা জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর ওপর দিয়ে যানচলাচল বন্ধ থাকায় ওই পথে যানজট তৈরি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়াগামী রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের সব যানবাহন বাবু বাজার সেতু দিয়ে চলাচল করে। এতে গুলিস্তান, রায়সাহেব বাজার ও যাত্রাবাড়ীতে দিনভর যানজট তৈরি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু পরিদর্শন শেষে আজ ঢাকা অঞ্চলের জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই সেতুর ওপর দিয়ে সীমিত আকারে যানবহন চলাচলের সুযোগ পাবে। তবে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ স্থায়ীভাবে ঠিক করা
No comments